![]() |
ডা: আবদুল করিম |
আমাদের লোক সমাজে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। লোক জন মনে করে যে হোমিও ওষুধে সকল রোগের চিকিৎসা হয় না এবং হোমিও ওষুধ দ্রুত কাজ করে না। আসলে কথাটা একদমই ঠিক নয়। এত দিন হোমিও সর্ম্পকে জাতির সামনে সঠিক ম্যাচেজ পৌচেনি। জাতি ভুল জনেছে। এই ভুল জানার পেচনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত এই ডিপার্টমেন্টে মেধাবীরা আসে না। দুর্বলরাই এই ডিপার্টমেন্টে আসে। কিন্তু অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের মত এই ডিপার্টন্টের চিকিৎসা সহজ নয় বরং ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে রুগী হোমিওতে আসে না। হোমিওতে বেশির ভাগ রোগী আসে তখনই যখন সে অন্য চিকিৎসাতে ব্যর্থ হয়ে যায়। কিংবা বুহু রকমের চিকিৎসার পর বাঁচার আশা থাকে না তখন। একজন রুগী এসে যদি বলে আজ সকাল থেকে বা কয়েক দিন হল আমার দাঁতে, পেটে, কানে ব্যথা। এই সব ক্ষেত্রে তো ব্যথা কমতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে। টিউমার চর্মরোগ বা অন্য কোন জটিল রোগ হলে সে ক্ষেত্রে কিছু দিনতো বেশি সময় লাগবেই। হোমিওতে যদি বলা হয় এই রোগের জন্য তিন মাস ওষুধ খেতে হবে তখন রুগীর কপাল মাথায় উঠে, বলে এত মাস! অথচ অন্যান্য চিকিৎসায় যখন ডাক্তার রুগীর স্লিপে ওষুধের পাশে লেখে চলবে অর্থাৎ এই ওষুধটি যত দিন বেঁচে থাকবেন তত কাল চলবে তখন তারা এত আশ্চার্য হয় না। আমার এক রুগী প্রায় দশ বছর একটি অজানা রোগে ভুগছিলেন। অনেক অনেক টাকা খরচ করে অনেক চিকিৎসা করে ব্যর্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি মাদ্রাজ গিয়েছিলেন। সেখানে এক মাস থাকার পর ব্যর্থ মনোরথে আবার দেশে ফিরে আসলেন। ডাক্তর বললেন আপনার চিকিৎসার কোন সম্ভাবনা নেই। তার পর তিনি দেশে ফিরে এসে আজকে প্রায় ৬/৭ বছর হোমিও চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি এখন প্রায় সুস্থ আলহাদুলিল্লাহ। সময়টা যদিও দীর্ঘ তবু তিনি যে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন। জটিল রোগে ভুগেছেন এরকম অনেকেই হোমিও চিকিৎস নিয়ে বেঁচে আছেন। সর্বশেষ যে কথা বলতে চাই তা হল সরকার যেন হোমিও প্যাথির দিকে নজর দেয়। তাহলে হোমিও থেকে রুগীরা ভাল সেবা পাবে। আর হোমিও ডিগ্রিধারীরাও উপকৃত হবে। হোমিও সেবা গ্রহণ করুন সুস্থ থাকুন।
No comments:
Post a Comment